শনিবার, ৫ মার্চ, ২০১৬

আপনার ঢোল আপনই বাজাও। অপরকে বাজাইতে দিলে উহা ফাটিয়া যাইবার সমুহ সম্ভাবনা।

আপনার ঢোল আপনই বাজাও। অপরকে বাজাইতে দিলে উহা ফাটিয়া যাইবার সমুহ সম্ভাবনা। তাই নিজের ঢোল নিজেই বাজাইতেছি আরকি!
আমি সৈয়দ তাজুল ইসলাম
পিতাঃ সৈয়দ সাব্বির আহমেদ ইবনে হাবিবুর রহমান(রহঃ) [গর্বিত রাজাকার]
মাতাঃ মির্জা রাওশনারা বেগ বিনতে বাবুল বেগ [গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা]
নানুজানের পরিচয়ে যেভাবে আমি গর্ববোধ করি,ঠিক তেমনিভাবে দাদুভাইয়ের পরিচয়েও গর্ববোধ করি।
ভাবছেন রাজাকারের নাতি রাজাকার না হয়ে আর কী হবে!
যদি এমনটা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার ভাবনা পুরোপুরি ঠিক তা বলতে পারব না!
কেননা যদি তার কিছু গুণাবলী আমার মধ্যে থাকত তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম!
রাজাকার কাকে বলে তার ব্যাখ্যায় যাব না,
আমার দাদুজানের রাজাকার হওয়ার পেছনে নিজ গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীর উক্তি হলো, তোমার দাদুভাই আমাদের মত নিরীহ সাধারণ মানুষের জান-মালের রক্ষার স্বার্থেই রাজাকারবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং অনেক নির্যাতন সহ্য করে সাধারণ মানুষের জান-মাল
 করেছন।(গ্রামের বাড়িতে গেলে যা এখনো অনেকে বলে)
পরবর্তী কথা,আমি আওয়ামীপন্থী না বিএনপিপন্থী। কাওমিপন্থী না আলিয়াপন্থী। নিজেকে অন্ধভাবে না দাবী করি সালাফী বা হানাফী না অন্য কোন মাসলাকি!
আমি একজন মুসলিম, মুসলিম উম্মাহ আমার ভাই।

আমি নাহি শত্রু হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ কিংবা স্বদেশীয় অন্য কোন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। আমি চরম বিরুদ্ধবাদী সাম্প্রদায়িকতাবিরুধীদের।

আমি নাহি হতে চাই অত্যাচারী নাহি হতে চাই অত্যাচারিত।
আমি হতে চাই পরম বন্ধু পথ ফুলের।

জন্মেছি যখন এই ডিজিটাল নামের এক অদ্ভুত যুগে!
তাই তার সাথে সামান্য হলেওতো সাদৃশ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে!
আমি যেভাবে রেখেছি তার সাথে সম্পর্ক আপনিও যদি রাখতে চান আমার সাথে সম্পর্ক তাহলে এক নজর দেখে আসতে পারেন →

আমার সাথে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে  Syed.TajulIslam@yahoo.com  অথবা SyedTajulIslambd@gmail.com এ যোগাযোগ করতে পারেন।

সামহোয়ারইনব্লগে পাবেন somewhereinblog.net/blog/Tajhabibi

ফেইসবুকে পাবেন Syed Tajul Islam নামে/ Facebook.com/S.Tajul
টুইটারে পাবেন Twitter.com/SyedTajulIslam1


ঢোল বেশী বাজাইতে গেলাম না ফাটিয়া যাইবার সমুহ সম্ভাবনা!

শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

নীরব চপেটাঘাত!

একটি বইয়ের কাল্পনিক কথোপকথন পড়ে আমার এত ভালো লাগলো যে, আমি বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেলাম। পরকালে অবিশ্বাসীদের গালে এমন নীরব চপেটাঘাত, সত্যিই অবাক না হয়ে পারা যায়না।
সংলাপটি মোটামুটি এরকম _
.
'একটি মাতৃগর্ভে জমজ দুই শিশুর মধ্যে কথা হচ্ছে।তাদের প্রথমজন দ্বিতীয়জনকে জিজ্ঞেস করলো,- 'তুমি কি প্রসব পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস করো?'
'
দ্বিতীয়জন বললো,- 'অবশ্যই করি।নিশ্চয় প্রসব পরবর্তী জীবন বলে কিছু আছে।হয়তো প্রসব পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতির জন্যই আজ আমরা এখানে।'
'
প্রথমজন বললো,- 'আরে বোকা! প্রসব পরবর্তী জীবন বলে কিছুই নেই।তোমার সেই কাল্পনিক জগত কেমন হতে পারে বলতো দেখি?'
'
দ্বিতীয়জন বললো,- 'আমি ঠিক জানিনা।তবে হতে পারে সেখানে এখানের(মাতৃগর্ভ) তুলনায় আলো অনেক বেশি হবে।হতে পারে সেখানে আমরা আমাদের পা দিয়ে হাঁটতে পারবো।আমাদের মুখ দিয়ে নিজেরাই খাদ্য গ্রহন করতে পারবো।হয়তো সেই জগতে আমাদের অন্যান্য ইন্দ্রিয় থাকবে যা আমরা এখন কল্পনা করতে পারছিনা।'
'
প্রথমজন বললো,- 'এটা নিছক কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়।পা দিয়ে হাঁটাহাঁটি? অসম্ভব। মুখ দিয়ে খাদ্য গ্রহন? অলিক কল্পনা। আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পুষ্টি আসে এই নাড়ির মাধ্যমে।কিন্ত নাড়ির এই স্বল্প দৈর্ঘ্য কখনোই প্রসব পরবর্তী জীবনের পক্ষে যুক্তি হতে পারেনা।প্রসব পরবর্তী জীবন বলে আদৌ কিছু নেই।এটা বাতুলতা।'
'
দ্বিতীয়জন বললো,- 'আমি মনে করি প্রসব পরবর্তী জীবন বলে কিছু আছে এবং সেটা এই মাতৃগর্ভের জীবনের চেয়ে ভিন্ন।হতে পারে সেখানে বাঁচার জন্যে আমাদের এই নাড়ির দরকার হবেনা।'

প্রথমজন উত্তর দিলো,- 'হাধারাম! প্রসব পরবর্তী জীবন বলে যদি কিছু থেকে থাকে,তাহলে সেই জীবন থেকে কখনো কেউ এই জীবনে ফেরত আসেনা কেনো? আসলে প্রসবের পরের জীবন বলতে কিছুই নেই।প্রসব হচ্ছে জীবনের শেষ। এরপর আর কিছু নেই।আছে কেবল অন্ধকার আর শুন্যতা।'
'
'আমি ঠিক জানিনা।'- দ্বিতীয়জন বললো।
সে আরো বললো,- 'হতে পারে সে জগতে আমাদের সাথে আমাদের মায়ের দেখা হবে।মা হয়তো সে জগতে আমাদের দেখাশুনা করবেন।'
'
প্রথমজন হাসতে লাগলো, আর বললো,- ' মা? তুমি 'মা' তে বিশ্বাস করো? এটা সত্যিই হাস্যকর! যদি মা বলে কেউ থেকে থাকে,তাহলে সে এখন কোথায়?'
'
দ্বিতীয়জন বললো,- 'সে আমাদের চারপাশে বিরাজমান।সে আমাদের ঘিরে আছে।আমরা তার মাঝে বেঁচে আছি।তাকে ছাড়া এই জগত অসম্ভব।এই পৃথিবী অসম্ভব।'
'
প্রথমজন বললো,- 'যেহেতু আমরা মা বলে কাউকে দেখিনা,অনুভব করিনা।সুতরাং, এর যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা এই যে, আসলে মা বলে কেউ নেই।'
'
দ্বিতীয়জন মুচকি হেসে বললো,- 'মাঝে মাঝে যখন তুমি নীরব থাকো,তখন মনোযোগ সহকারে যদি খেয়াল করো তাহলে তুমি তার উপস্থিতি টের পাবে।তুমি তার কন্ঠ শুনতে পাবে।বুঝতে পারবে তিনি তার দরদভরা মধুর কন্ঠে উপর থেকে আমাদের ডাকছেন।'

আমার মনে হয় 'মৃত্যু পরবর্তী জীবন' আর 'কনসেপ্ট অফ গড' থিওরিতে কোনপ্রকার ধর্মীয় কিতাবাদির রেফারেন্স ব্যতীত ব্যাখ্যাগুলির মধ্যে Dr. Wayne Dyer এর এই ব্যাখাটিই অল দ্য বেষ্ট.

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

একটি অসাধারণ দু'আ!

একটি অসাধারণ দু'আ!
"হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এরূপ সামর্থ্য দান কর, যাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করি, যা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার সন্তানদেরকে সৎকর্মপরায়ণ কর, আমি তোমার প্রতি তওবা করলাম এবং আমি আজ্ঞাবহদের অন্যতম। [সূরা আহক্বাফঃ ১৫]